ফারাক্কা- বাংলাদেশ-ভারত দুই প্রতিবেশী দেশের উপর বিষফোঁড়া

2.245 কিলোমিটার দীর্ঘ একটি বান 100 টি সুইজ গেট বাংলাদেশ নামক দেশটিকে বর্ষায় ডোবানো আর গ্রীষ্মে শুকানোই যার মূল উদ্দেশ্য বলছি অভিশপ্ত ফারাক্কা বাঁধের কথা কলকাতা বন্দরের নাম বৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে এই বাঁধ নির্মাণ করেছিল ভারত 975 সালের 21 এপ্রিল থেকে 31 শে মে পর্যন্ত 41 দিনের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে ফারাক্কা বাঁধের সব ফিডার ক্যানেল চালুর কথা বলে ভারত কিন্তু বাস্তবতা হলো ওই 41 দিনের পরিবর্তে 50 বছর পরেও চালু রয়েছে বাঁধটি বাংলাদেশের কোথায় পড়ে আসি যে কলকাতা বন্দর টিকিয়ে রাখার অজুহাতে এই বাঁধ নির্মিত হয়েছিল সেই কলকাতা বদ্মস্টি কি এখন সুরক্ষিত আছে নানি কলকাতা বন্দর সচল রাখতে বর্তমানে যে পরিমাণ ড্রেজিং করতে হয় ফারাক্কা বাঁধ চালু করার আগেও এতটা রেসিং দরকার হতো না বাঁধ নির্মাণের আগে স্থানীয় অধিবাসী

রাখতে বর্তমানে যে পরিমাণ ড্রেজিং করতে হয় ফারাক্কা বাঁধ চালু করার আগেও এতটা রেসিং দরকার হতো না বাঁধ নির্মাণের আগে স্থানীয় অধিবাসী.

বলা হয়েছিল ফারাক্কা চালু হলে গঙ্গায় আর বন্যা হবে না কিন্তু অতীতের তুলনায় বাঁধ নির্মাণের পর বন্যার পরিমাণ এখনো অনেক গুন বেড়ে গেছে অপরিণামদর্শী এই প্রকল্প ইতিমধ্যেই ভারতের পশ্চিমবঙ্গ বিহার রাজ্যের ব্যাপক পরিবেশ বিপর্যয় ডেকে এনেছে ফারাক্কা বাঁধের ফলে প্রতিবছর শুধুমাত্র বিহারে কুড়ি লক্ষ মানুষ হুমকির মুখে পড়ছে বছর বছর বন্যার বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার প্রেক্ষিতে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার ফারাক্কা ব্যারেজ ভেঙে ফেলার প্রস্তাব দিয়েছেন কিন্তু বিশেষজ্ঞ এবং উন্নয়ন কর্মীরা বলছেন বাদরিনা ভেঙে সড়ক ও রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা অক্ষুন্ন রেখেই বাঁধের গেট গুলো অপসারণ করা সম্ভব এবার আসা যাক বাংলাদেশের কথায় ফারাক্কা বাঁধ সৃষ্ট প্রাকৃতিক জটিলতায় বছরে বাংলাদেশে যে ক্ষতি হয় তা অর্থের অংকে প্রায় 300 কোটি মার্কিন ডলার পদ্মার জলপ্রবাহ মারাত্মকভাবে কমে যাওয়ায়.

রাজশাহী চাঁপাইনবাবগঞ্জ অঞ্চলের ভূগর্ভস্থ জলের প্রথম স্তর 8 থেকে 10 ফুট জায়গা বিশেষে 15 ফুট নিচে নেমে গেছে এই স্তরের জলের অভাব পূরণ করতে পারছে না মৌসুমী বৃষ্টির জল প্রবাহের এমন করুণ অবস্থা থেকে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে মরুকরণ প্রক্রিয়া শুষ্ক মৌসুমে জলের অভাবে মাটির আর্দ্রতা কমে গেছে 35% আদ্রতার অভাবে দিনের নিম্নতম উচ্চতম তাপমাত্রার তারতম্য বৃদ্ধি পেয়েছে আশঙ্কাজনকভাবে বাংলাদেশের গড়াই নদী এখনই মরুকরণ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণভাবে বিলুপ্ত প্রবাহ কমে যাওয়ায় অধিকাংশ নদীর নাব্যতা কমে গেছে ফলে বাংলাদেশকে প্রায়শই বড় মাপের বন্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে এছাড়া মিষ্টি জলের সরবরাহ কমে যাওয়ায় কৃষিক্ষেত্রে পড়েছে এর ভয়াবহ প্রভাব বৃদ্ধি পেয়েছে খুলনা অঞ্চলের মাটির লবণাক্ততা অনিয়ন্ত্রিত জল প্রবাহের কারণে,

এলাকার প্রায় দুইশতাধিক মাছের প্রজাতি ও 18 প্রজাতির চিংড়ি হুমকির সম্মুখীন মাছের সরবরাহ কমে যাওয়ার ফলে কয়েক হাজার জেলে বেকার হয়ে পড়েছে শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশের 300 কোটি কিলোমিটার এর বেশি নৌপথ নৌ চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে অপসারণের ফলে নাব্যতা হারিয়েছে পদ্মার আড়াই হাজার কিলোমিটার নদীপথ বাদ সালের পর থেকে এখনো পর্যন্ত 49 টি শাখা নদীর অস্তিত্ব সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে গেছে গত চার দশকে গঙ্গা অববাহিকায় ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে গঙ্গার উজানে বিহার উত্তর প্রদেশ এবং মাটিতে সুন্দরবন পর্যন্ত পরিবেশ বিপর্যয় এর চিত্র আজ সুস্পষ্ট অন্যদিকে গ্রীষ্ম মৌসুমে জল আটকে রাখার ফলে নদীর স্বাভাবিক গতি হারিয়ে ক্ষতির শিকার হচ্ছে ভাটি অঞ্চলের বাংলাদেশ চুক্তি ভঙ্গ করে ভারতের খেয়ালখুশিমতো থেকে.

নিয়ন্ত্রিতভাবে জল অপসারণ ও বন্ধের ফলে শুষ্ক মৌসুমে তীব্র খরার কবলে পড়ছে বাংলাদেশ আবার বর্ষা মৌসুমে প্রচন্ড বন্যার কবলে পড়ছে বাংলাদেশ ফারাককাবাদ কেন্দ্রিক ভারতের এসেছে চারিতার ফলে শুধু বাংলাদেশ নয় ভারত নিজেও মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তাই বাংলাদেশ-ভারত উভয় দেশের জন্য অভিশাপস্বরূপ এই ফারাক্কা বাঁধ অবিলম্বে সরিয়ে ফেলাই মঙ্গল।

Post a Comment

Previous Post Next Post